করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৬৮ টি কারাগারের প্রায় ৯০ হাজার বন্দি। ধারণ ক্ষমতার থেকে বেশি বন্দি থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দিতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে কারা প্রশাসন। নতুন বন্দিদের আলাদা করে রাখা হচ্ছে ১৪ দিন। স্বজনদের সাথে সাক্ষাতও বন্ধ করা হয়েছে। ভবিষ্যত ভয়াবহতার কথা চিন্তা করে বিভাগীয় শহরের কারাগারগুলোতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত করেছে কারা অধিদপ্তর।
দেশের কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি কারাবন্দি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। স্থান সংকুলান না থাকায় একসাথে গাদাগাদি করে থাকতে হয় বন্দিদের। বিকল্প পথ না থাকায় করোনা মহামারীর মধ্যে কারাগারে ভাইরাস সংক্রমের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।
এ অবস্থায় কারাবন্দিদের সুরক্ষিত রাখতে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে কারা প্রশাসন। সংক্রমন ঠেকাতে জেল সুপার ও জেলারসহ সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোন বন্দি করোনা আক্রান্ত হলে অতিদ্রুত তা কারাগারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এজন্যই বন্দিদের ভাইরাস আছে কি না তা পরীক্ষার জন্য পাঁচটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। তাছাড়া দেশের প্রতিটি কারাগারে বন্দিদের তাপমাত্রা মাপার জন্য দেয়া হয়েছে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার।
কারা অধিদপ্তরের কারা মহাপরিদর্শক ব্রি. জে. এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকেই আমরা দেশের সকল কারাগারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি। করোনার জন্য বিশেষ যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে তা মেনে চলার পাশাপাশি আমরা নতুন আগত বন্দিদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া কোর্টগামী বন্দিদের হাজিরা থেকে বিরত রাখছি।
এছাড়াও যেসব নতুন কারাবন্দি আসছেন তাদের ১৪ দিন আলাদা রেখে পর্যবেক্ষণ করছে কারা কর্তৃপক্ষ। পুরাতন কোন বন্দির শরীরে জ্বর বা অন্য কোন উপসর্গ থাকলে সাথে সাথে আলাদা ভাবে তাকে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। স্বজনদের সাথে স্বাক্ষাৎ বন্ধ করে টেলিফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এসব কাজ কঠোরভাবে তদারকি করার কথাও জানান কারা অধিদপ্তরের প্রধান ব্রি. জে. এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।
করোনার ঝুঁকি মোকাবেলায় লঘু অপরাধে বিচারাধীন কিছু আসামিকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে সরকারি নির্দেশে।